রাজধানীর গুলিস্তান বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড কাউন্টারের পাশে একটি ভবন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৫ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসেছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে ঢাকা মেডিকেল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর হতাহতদের দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনা আহতদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এত বেশি ছিল যে মুহূর্তেই স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো এলাকা। দেয়াল ভেঙে এসে পড়ে রাস্তায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পার্শবর্তী ভবনগুলোও। ভেঙে পড়েছে অনেক ভবনের কাঁচ। বাসযাত্রী থেকে শুরু করে পথচারী পর্যন্ত বিস্ফোরণের আশেপাশে থাকা সবাই হতাহত হয়েছেন। ঘটনার পর রিক্সা, ঠেলাগাড়ি, ট্রাক, গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ যে যেভাবে পারছে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, ভবনটি বাণিজ্যিক হওয়ায় ভেতরে অনেকের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভবনটির ভেতরে আরও আহত কেউ আটকা পড়েছে কি না, তা খুঁজে দেখছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-মিডিয়া) শাহজাহান সিকদার জানান, ফায়ার সার্ভিসের ৭ ইউনিট ভবন থেকে অনেককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে।
ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাজাহান শিকদার জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে গুলিস্তান বিআরটিসি কাউন্টারের দক্ষিণ পাশে ৫তলা ভবন (নিচতলায় সেনিটারি দোকান, বাকি ফ্লোরগুলো ব্র্যাক ব্যাংকের অফিস) এবং তার পাশের ৭ তলা একটি সেনেটারি মার্কেট ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো ভবনই ধসে পড়েনি।
পাশের মার্কেটের এক কর্মী বলেন, হঠাৎ বিস্ফোরণের পর বের হয়ে দেখি রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন বহু মানুষ। ৮ জনকে আমি নিজে ভ্যানে উঠিয়ে মেডিকেলে পাঠিয়েছি। তারা সবাই মারা গেছেন বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। এছাড়া আরও বহু লোক আহত হয়ে পড়ে ছিলেন। যে যেভাবে পেরেছে তাদের মেডিকেলে পাঠিয়েছে। রাস্তায় থাকা সব গাড়ি, পথচারী, রিকশা, ভ্যান- সবকিছুই বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান আল আমিন।