প্রশাসক, শিক্ষক, লেখক এবং সক্রিয় সমাজ সচেতক ড. আকবর আলি খানের মৃত্যুতে অনেকের মতো আমিও মর্মাহত। তবে আমার কাছে সব পরিচয়ের উর্ধে তিনি ছিলেন একজন গবেষণা নিষ্ঠ উঁচু মাপের লেখক। এমন কি সতেরো বছর ধরে গবেষণা পর তিনি একটি বই সম্পন্ন করেছিলেন। বহুমাত্রিক এই প্রতিভা বুদ্ধিবৃত্তিক অবদানের জন্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
তাঁর গবেষণালব্ধ বইগুলোর ব্যপ্তি ছিল বাজেটে জনঅংশগ্রহণ, দারিদ্রের অর্থনীতি, পরার্থপরতার অর্থনীতি, রবীন্দ্রনাথ এবং জীবনানন্দ ছাড়াও একটি চমৎকার আত্মজীবনীর প্রথম খন্ডের মতো আকর্ষণীয় সব বিষয়। তিনি হাস্যরসাত্মক গল্প উপাখ্যান ব্যবহার করে বৈঠিকি আড্ডার আদলে অর্থনীতির কঠিন সব বিষয় পাঠকের কাছে তুলে ধরতেন।
মোল্লা নাসরুদ্দীন ছিল তার প্রিয় চরিত্র। আমার অনুরোধে ২০০৮ সালে তিনি সমুন্নয়ের জন্য বাজেটে জনমানুষের অংশগ্রহণেরে সাংবিধানিক অঙ্গিকার ও বাস্তবতা নিয়ে একটি আগ্রহ উদ্দীপক গবেষণালব্ধ বই লিখেছিলেন।
ব্যক্তিগতভাবে তাঁর সাথে আমার ছিল গভীর সম্পর্ক। অসুস্থ শরীরেও শুধুমাত্র মনের জোরে তিনি আমৃত্যু গবেষণা ও শিক্ষকতা করে গেছেন। তার মৃত্যুতে বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গনে যে বিরাট শূণ্যতা তৈরি হলো তা সহজে পূরন হবার নয়। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। তিনি চিরদিন বেঁচে থাকবেন অমর সৃষ্টিশীল লেখালেখির জন্য।
ড. আতিউর রহমানের ফেসবুক থেকে