তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ও সাবেক বিএনপি নেতা এবং যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
রাত সোয়া ১১টার দিকে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা হুদার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন।
নাজমুল হুদার ব্যক্তিগত সহকারী শামীম আহমেদ বলেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী। তিন দিন আগে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মরদেহ কিছুক্ষণ পর তার ধানমন্ডির বাসায় নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ধরে নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন নাজমুল হুদা। সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি। গত সপ্তাহে তার গঠিত তৃণমূল বিএনপি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে।
বিএনপি গঠনের সময় দলটিতে যুক্ত হন নাজমুল হুদা। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান তাকে দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে নিয়েছিলেন। এরপর খালেদা জিয়াও সেই কমিটিতে রেখেছিলেন।
১৯৯১ ও ২০০১ সালে খালেদা জিয়া সরকারে মন্ত্রী ছিলেন নাজমুল হুদা। মাঝে একবার দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে পুনরায় ফিরেছিলেন। তবে ২০১২ সালে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে বিএনএফ নামে নতুন দল গঠন করেন তিনি।
পরে সেই দল থেকে নাজমুল হুদাকেই বহিষ্কার করে ২০১৪ সালে এমপি হন দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। এরপর বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে দুটি নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়েন নাজুমুল হুদা। তাতে সফল না হওয়ার পর ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামে নতুন দল করেন।